মোবাইল ফোনে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকেই প্রেম। তারপর জড়ান অনৈতিক সম্পর্কে।
নিজের বয়সের চেয়ে ছয় বছরের ছোট প্রেমিকের সঙ্গে সংসার করার পরিকল্পনা করেন রূপালী খাতুন (২৫)। পরে তার স্বামী জাহিদুল ইসলামকে (৩০) দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার করে লাশ বালুচাপা দেয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।
ঘটনার ১০ দিন পর গাজীপুর নগরীর কাশিমপুর শৈলডুবী গ্রামে নির্মাণাধীন ভবনের কক্ষে বালুর নিচ থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
রোবাবার (১৮ জুলাই) বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ উত্তর) জাকির হাসান সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান।
এ ঘটনায় শনিবার (১৭ জুলাই) দিবাগত রাতে নিহতের স্ত্রী কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার বড়াইকান্দি গ্রামের শুকুর আলী দেওয়ানীর মেয়ে রুপালী খাতুন (২৫) এবং তার প্রেমিক জামালপুরের বকশীগঞ্জ থানার নীলেরচর গ্রামের নজরুল ইসলাম সরকারের ছেলে মোহাম্মদ সুজন মিয়াকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিহত জাহিদুল ইসলাম (৩০) কুড়িগ্রামের রৌমারী থানার চর বোয়ালমারী গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে।
পুলিশ উপ-কমিশনার জানান, ভিকটিম জাহিদুলের স্ত্রী রূপালী খাতুনের সঙ্গে প্রেমিক সুজন মিয়ার গত ৮/৯ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। রূপালী বেশ কয়েকবার স্বামী জাহিদুলকে ফেলে প্রেমিক সুজনের কাছে জামালপুরের গ্রামের বাড়িতে চলে যায়। এ বিষয় নিয়ে দাম্পত্য কলহের জেরে রূপালী তার স্বামী জাহিদুলকে হত্যার করে প্রেমিক সুজনের সঙ্গে সংসার করার পরিকল্পনা করে।
পরে গত ৬ জুলাই রাত ১১টার দিকে জাহিদুল বাসায় আসলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রূপালী দুধের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশেয়ে খাওয়ায়। রাত ১টার দিকে প্রেমিক সুজন ঘুমন্ত জাহিদের হাত-পা চেপে ধরে এবং রুপালী বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে দুইজনে মিলে লাশ বালির নিচে চাপা দেয়।
আরও পড়ুন:
শুক্রবার (১৬ জুলাই) কাশিমপুর থানার পশ্চিম শৈলডুবীর ছোফর উদ্দিন ছাফফুর নির্মাণাধীন বাড়ির কক্ষের বালুর নিচ থেকে জাহিদুল ইসলামের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানান উপ-কমিশনার জাকির হাসান।
পুলিশের উপ-কমিশনার জানান, এ ঘটনার পর রূপালী খাতুন পলাতক ছিলেন। পরে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে কুড়িগ্রাম এবং জামালপুর জেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে রুপালী খাতুন ও মোহাম্মদ সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।